मौसम क्रिकेट ऑपरेशन सिंदूर क्रिकेट स्पोर्ट्स बॉलीवुड जॉब - एजुकेशन बिजनेस लाइफस्टाइल देश विदेश राशिफल लाइफ - साइंस आध्यात्मिक अन्य
---Advertisement---

Shrikhand is famous in which state (শ্রীখণ্ড কোন রাজ্যে বিখ্যাত)

On: September 20, 2025 4:03 AM
Follow Us:
Shrikhand is famous in which state

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---

কল্পনা করুন, গরমের দিনে একটা ঠান্ডা, ক্রিমি মিষ্টি যা যোগুর্ট দিয়ে বানানো, আর তার উপর ছড়ানো বাদাম আর কেশরের সুন্দর গন্ধ। এটা খেলে মনে হয় যেন স্বর্গের স্বাদ পেলেন! এই মিষ্টিটা হল শ্রীখণ্ড, যা ভারতের একটা বিশেষ অংশের খুব প্রিয়। কিন্তু প্রশ্ন হল, শ্রীখণ্ড কোন রাজ্যে বিখ্যাত? এটা শুনলে আপনার মনে হতে পারে এটা শুধু একটা সাধারণ প্রশ্ন, কিন্তু এর পিছনে লুকিয়ে আছে একটা লম্বা ইতিহাস, সংস্কৃতি আর স্বাদের গল্প। আজ আমরা এই মিষ্টির রহস্য উন্মোচন করব, আর জানব কেন এটা এতটা জনপ্রিয়।

এখন চলুন একটা ছোট গল্প বলি। একবার একটা ছেলে তার দাদুর কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করল, “দাদু, শ্রীখণ্ড কোথায় থেকে এসেছে?” দাদু হেসে বললেন, “বাবু, এটা আমাদের দেশের পশ্চিম দিকের একটা রাজ্যের গর্ব। সেখানকার লোকেরা এটা খেয়ে উৎসব পালন করে।” এই গল্পটা শুনে আপনার মনে হয়তো কৌতূহল জাগছে, তাই না? হ্যাঁ, শ্রীখণ্ড মূলত গুজরাত রাজ্যে বিখ্যাত, কিন্তু মহারাষ্ট্রেও এটা খুব প্রিয়। এই দুটো রাজ্যের সংস্কৃতিতে এটা মিশে গেছে। এখন আমরা ধাপে ধাপে জানব এই মিষ্টির সবকিছু, যাতে আপনি নিজে বাড়িতে বানাতে পারেন আর বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। এটা পড়ে আপনার মনে হবে যেন একটা স্বাদের যাত্রা করলেন!

শ্রীখণ্ড কী এবং কেন এটা বিখ্যাত?

প্রথম ধাপ: শ্রীখণ্ডকে চিনুন। শ্রীখণ্ড হল একটা ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি যা দই থেকে বানানো হয়। এটা ঘন, মসৃণ আর সুস্বাদু। ভারতের পশ্চিম অংশে এটা খুব জনপ্রিয়। গুজরাত আর মহারাষ্ট্র রাজ্যে এটা উৎসবের অংশ। লোকেরা এটা পুরি বা থালির সাথে খায়। এর নাম এসেছে সংস্কৃত শব্দ থেকে, যার অর্থ “দুধের অমৃত”। এটা খেলে সত্যি মনে হয় অমৃতের মতো!

দ্বিতীয় ধাপ: ইতিহাস জানুন। শ্রীখণ্ডের ইতিহাস খুব পুরনো। বলা হয় এটা ৫০০ খ্রিস্টপূর্ব থেকে আছে। গুজরাতের লোকেরা এটা প্রাচীন কাল থেকে বানায়। মহারাষ্ট্রেও এটা একইভাবে বিখ্যাত। এই দুটো রাজ্যের সংস্কৃতিতে এটা মিশে গেছে। উৎসবে, বিবাহে বা সাধারণ দিনে এটা খাওয়া হয়। এর কারণ হল এটা সহজে বানানো যায় আর স্বাস্থ্যকর।

শ্রীখণ্ড কোন রাজ্যে বিখ্যাত: বিস্তারিত আলোচনা

তৃতীয় ধাপ: গুজরাতের সাথে যোগ। গুজরাত রাজ্যে শ্রীখণ্ড খুব বিখ্যাত। এখানকার খাবারে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গুজরাতি থালিতে এটা প্রায়ই থাকে। লোকেরা এটা কেশর, এলাচ আর বাদাম দিয়ে বানায়। গুজরাতের উৎসব যেমন নবরাত্রি বা দিওয়ালিতে এটা অবশ্যই খাওয়া হয়। এর কারণ হল গুজরাতের আবহাওয়া গরম, আর এটা ঠান্ডা মিষ্টি হিসেবে সবাই পছন্দ করে।

চতুর্থ ধাপ: মহারাষ্ট্রের ভূমিকা। মহারাষ্ট্রেও শ্রীখণ্ড সমানভাবে প্রিয়। এখানে এটা “মাথো” নামেও পরিচিত। মুম্বাই বা পুনের মতো শহরে এটা সহজে পাওয়া যায়। মহারাষ্ট্রের লোকেরা এটা গণেশ চতুর্থীতে খায়। দুটো রাজ্যের মধ্যে এর রেসিপি একটু আলাদা, কিন্তু স্বাদ একই রকম মজাদার।

পঞ্চম ধাপ: অন্য রাজ্যে কী হয়? যদিও গুজরাত আর মহারাষ্ট্রে এটা সবচেয়ে বিখ্যাত, অন্য রাজ্যেও এটা ছড়িয়ে পড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, রাজস্থান বা উত্তর প্রদেশে কিছু লোক এটা বানায়। কিন্তু মূল উৎস হল পশ্চিম ভারত। এটা এখন সারা দেশে পপুলার হয়ে উঠেছে, এমনকি বিদেশেও।

শ্রীখণ্ড বানানোর সহজ গাইড

এখন চলুন ধাপে ধাপে শিখি কীভাবে শ্রীখণ্ড বানাবেন। এটা খুব সহজ, আর বাড়িতে উপকরণ পাওয়া যায়।

ষষ্ঠ ধাপ: উপকরণ সংগ্রহ করুন। আপনার লাগবে ১ কেজি দই (yogurt), ১/২ কাপ চিনি, কয়েকটা এলাচ গুড়ো, কেশরের কয়েকটা সুতো, আর কাটা বাদাম। এগুলো সব সহজে বাজারে পাবেন। দইটা তাজা হওয়া দরকার, যাতে স্বাদ ভালো হয়।

সপ্তম ধাপ: দই ছেঁকে নিন। প্রথমে একটা সুতির কাপড় নিন। তার উপর দই ঢেলে দিন। কাপড়টা বেঁধে ঝুলিয়ে রাখুন ৪-৫ ঘণ্টা। এতে দইয়ের জল বেরিয়ে যাবে, আর ঘন দই পাবেন। এটাকে বলে হাঙ্গ কার্ড (hung curd)। এটা শ্রীখণ্ডের মূল অংশ।

অষ্টম ধাপ: চিনি মেশান। ঘন দইটা একটা বাটিতে নিন। তার মধ্যে চিনি দিন। ভালো করে মিশিয়ে নিন যতক্ষণ না চিনি গলে যায়। এতে মিষ্টি হবে। যদি চান তাহলে একটু লবণ দিতে পারেন স্বাদ বাড়ানোর জন্য।

নবম ধাপ: মশলা যোগ করুন। এখন এলাচ গুড়ো আর কেশর দিন। কেশরটা আগে একটু গরম দুধে ভিজিয়ে রাখুন, যাতে রং বেরোয়। সব মিশিয়ে নিন। এতে সুন্দর গন্ধ আসবে।

দশম ধাপ: সাজান আর ঠান্ডা করুন। উপরে কাটা বাদাম ছড়িয়ে দিন। ফ্রিজে রাখুন ১-২ ঘণ্টা। ঠান্ডা হলে খাওয়ার জন্য তৈরি!

শ্রীখণ্ডের বিভিন্ন প্রকার

একাদশ ধাপ: সাধারণ শ্রীখণ্ড। এটা বেসিক, শুধু দই আর চিনি দিয়ে। গুজরাতে এটা খুব চলে।

দ্বাদশ ধাপ: কেশর শ্রীখণ্ড। কেশর দিয়ে হলুদ রং হয়, আর গন্ধ অসাধারণ। মহারাষ্ট্রে এটা প্রিয়।

ত্রয়োদশ ধাপ: ফলের শ্রীখণ্ড। আজকাল আম বা স্ট্রবেরি দিয়ে বানানো হয়। এটা মডার্ন ভার্সন (modern version), যা যুবকদের পছন্দ।

চতুর্দশ ধাপ: ড্রাই ফ্রুটস শ্রীখণ্ড। বাদাম, কিসমিস দিয়ে। এটা উৎসবে বানানো হয়।

শ্রীখণ্ডের স্বাস্থ্য উপকারিতা

পঞ্চদশ ধাপ: প্রোটিন সমৃদ্ধ। দই থেকে বানানো বলে প্রোটিন অনেক। শরীরের জন্য ভালো।

ষোড়শ ধাপ: হজমে সাহায্য। দইয়ের কারণে পেট ভালো থাকে। গরমে এটা ঠান্ডা করে।

সপ্তদশ ধাপ: ক্যালোরি কম। যদি কম চিনি দেন, তাহলে ডায়েটে খেতে পারেন।

শ্রীখণ্ড খাওয়ার উপায়

অষ্টাদশ ধাপ: পুরির সাথে। গুজরাতে এটা পুরি দিয়ে খাওয়া হয়।

ঊনবিংশ ধাপ: একা খান। ঠান্ডা করে খেলে মজা।

বিংশ ধাপ: থালির অংশ। উৎসবে থালিতে রাখুন।

উপসংহার

শ্রীখণ্ড গুজরাত আর মহারাষ্ট্রের বিখ্যাত মিষ্টি। এটা বানানো সহজ, আর স্বাদ অসাধারণ। এখন আপনি জানেন কেন এটা এতটা প্রিয়। বাড়িতে বানিয়ে চেখে দেখুন, আর বন্ধুদের বলুন। এটা পড়ে যদি আপনার মুখে জল আসে, তাহলে আমার লেখা সফল!

Join WhatsApp

Join Now

Join Telegram

Join Now

Leave a Comment